আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বলে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পরপরই কমলা হ্যারিসের বৈঠকের কথা জানা গেলো।
মার্কিন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কমলা হ্যারিস রাশিয়াকে সতর্ক করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণও দেবেন। রাশিয়ার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগ দেওয়ার কার্যক্রম আরও অগ্রসর হবে এবং ইউক্রেন আক্রমণ করলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে এমন হুঁশিয়ারিও আসতে পারে কমলা হ্যারিসের কাছ থেকে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ এবং তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোকে সতর্ক করেন তিনি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, মার্কিন গোয়েন্দারা যেসব তথ্য পেয়েছেন, তাতে তার বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে যে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ হতে পারে রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু। যদিও রাশিয়া বারবার সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় রাশিয়ার তরফ থেকে। তবে এ ঘোষণাকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এদিকে, ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দেবে কি না সেই প্রশ্নে জবাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ন্যাটোর সদস্য পদ তার দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের পেছনে মূলত রয়েছে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে রাশিয়া। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক অবস্থানের কারণে ক্রেমলিনের দাবি ভিন্ন। মস্কো বলছে যে তারা পুরোনো সোভিয়েত প্রতিবেশী যাতে ন্যাটোতে যোগ না দেয় তা নিশ্চিত করতে শুধু সতর্ক বার্তা দিচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স